Saturday 26/04/2025

Top Menu

Advertisement

Sadikur Rahman
Sunday, June 12, 2016, June 12, 2016
Last Updated 2020-04-13T14:56:44Z
সারাদেশ

মসলিন তৈরির প্রযুক্তি পুনরুদ্ধারে প্রকল্প

ঐতিহ্যবাহী মসলিন কাপড় তৈরির প্রযুক্তি পুনরুদ্ধারে সরকার একটি প্রকল্প নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। শত বছর পর ‘মসলিনের দেখা’ সচিবালয়ে রোববার ‘বস্ত্রশিল্পে মসলিন প্রযুক্তি পুনরুদ্ধারে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় প্রতিমন্ত্রী এই তথ্য জানান বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

 প্রতিমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ঐতিহ্যবাহী মসলিন কাপড় তৈরির প্রযুক্তি পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড একটি প্রকল্প নিতে যাচ্ছে। এর ফলে তাঁত বস্ত্রের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে তাঁতীদের আয় বাড়বে।” মির্জা আজম বলেন, প্রান্তিক তাঁতীদের আত্মকর্মসংস্থান ও জীবনযাত্রার মান বাড়াতে সরকার সহায়তা করছে। তাঁতী সমাজকে পুর্নবাসন করে তাদের সমৃদ্ধ করা হবে।

 সভায় জানানো হয়, চলতি বছর ৩৭১ জন তাঁতীর মধ্যে এক কোটি ১৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। বস্ত্র ও পাট সচিব এম এ কাদের সরকার, তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন আহম্মেদ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. রেজাউল কাদের, আবু ছাইদ শেখ প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন। রূপগঞ্জের এক কারিগরের বানানো ৩০০ কাউন্টের সুতার (৩০০ মিটার সুতার ওজন ১ গ্রাম) দুটি শাড়ি গত ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় যাদুঘরে প্রদর্শন করা হয়। গবেষকদের মতে, আড়াইশ কাউন্টের চেয়ে মিহি সাদা সুতা দিয়ে মসলিন তৈরি করা হতো শত বছর আগে।

রাজ পরিবারের মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে থাকা এই শাড়ি বোনা হতো কার্পাসের সুতায়। এজন্য এক সময় বৃহত্তর ঢাকার মেঘনা ও শীতলক্ষ্যা নদীর তীর সংলগ্ন অঞ্চলে হতো ফুটি কার্পাসের চাষ। সেই সুতা তৈরি হতো নদীতে নৌকায় বসে,উপযোগী আর্দ্র পরিবেশে। ব্রিটিশ শাসনামলে কল-কারখানা থেকে সাশ্রয়ী কাপড় আসায় একসময় হারিয়ে যায় দীর্ঘ সময় নিয়ে মসলিন তৈরির তাঁত ও সুতা। সেই সুতা ফিরিয়ে আনতে সরকার গত বছর ১২৪০ কোটি ৩৮ লাখ টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছে,যার কাজ শুরু হবে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে।

মসলিন তৈরির প্রযুক্তি পুনরুদ্ধারে প্রকল্প
Advertisement
ঐতিহ্যবাহী মসলিন কাপড় তৈরির প্রযুক্তি পুনরুদ্ধারে সরকার একটি প্রকল্প নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। শত বছর পর ‘মসলিনের দেখা’ সচিবালয়ে রোববার ‘বস্ত্রশিল্পে মসলিন প্রযুক্তি পুনরুদ্ধারে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় প্রতিমন্ত্রী এই তথ্য জানান বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

 প্রতিমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ঐতিহ্যবাহী মসলিন কাপড় তৈরির প্রযুক্তি পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড একটি প্রকল্প নিতে যাচ্ছে। এর ফলে তাঁত বস্ত্রের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে তাঁতীদের আয় বাড়বে।” মির্জা আজম বলেন, প্রান্তিক তাঁতীদের আত্মকর্মসংস্থান ও জীবনযাত্রার মান বাড়াতে সরকার সহায়তা করছে। তাঁতী সমাজকে পুর্নবাসন করে তাদের সমৃদ্ধ করা হবে।

 সভায় জানানো হয়, চলতি বছর ৩৭১ জন তাঁতীর মধ্যে এক কোটি ১৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। বস্ত্র ও পাট সচিব এম এ কাদের সরকার, তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন আহম্মেদ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. রেজাউল কাদের, আবু ছাইদ শেখ প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন। রূপগঞ্জের এক কারিগরের বানানো ৩০০ কাউন্টের সুতার (৩০০ মিটার সুতার ওজন ১ গ্রাম) দুটি শাড়ি গত ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় যাদুঘরে প্রদর্শন করা হয়। গবেষকদের মতে, আড়াইশ কাউন্টের চেয়ে মিহি সাদা সুতা দিয়ে মসলিন তৈরি করা হতো শত বছর আগে।

রাজ পরিবারের মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে থাকা এই শাড়ি বোনা হতো কার্পাসের সুতায়। এজন্য এক সময় বৃহত্তর ঢাকার মেঘনা ও শীতলক্ষ্যা নদীর তীর সংলগ্ন অঞ্চলে হতো ফুটি কার্পাসের চাষ। সেই সুতা তৈরি হতো নদীতে নৌকায় বসে,উপযোগী আর্দ্র পরিবেশে। ব্রিটিশ শাসনামলে কল-কারখানা থেকে সাশ্রয়ী কাপড় আসায় একসময় হারিয়ে যায় দীর্ঘ সময় নিয়ে মসলিন তৈরির তাঁত ও সুতা। সেই সুতা ফিরিয়ে আনতে সরকার গত বছর ১২৪০ কোটি ৩৮ লাখ টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছে,যার কাজ শুরু হবে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে।